এসএ কালাম সেতু: আলোকিত এক জীবন ও মানবতার প্রতিচ্ছবি | SA Kalam Setu: A Beacon of Light and Humanity
পরিচিতি
সিলেট জেলার গহরপুর এলাকার এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম এসএ কালাম সেতু। ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করা এই মহান ব্যক্তি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন সমাজের উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার এবং মানবতার কল্যাণে। প্রবাসে থেকেও তিনি শিকড়ের সঙ্গে অটুট থেকে হয়ে উঠেছেন মানবসেবার এক দৃষ্টান্ত।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
গহরপুর হাজীপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এসএ কালাম সেতু শৈশব থেকেই দেখিয়েছেন সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে তিনি পরিশ্রম ও প্রতিভার মাধ্যমে একজন সফল পেশাজীবী হয়ে ওঠেন।
বর্তমানে তিনি শহীদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সম্মানিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে নিরলস কাজ করে চলেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
এসএ কালাম সেতু ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জনক। তাঁর পুত্ররা—আমান শহীদ, তাজিম শহীদ এবং ইয়াসির শহীদ—ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটির মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত।
মানবতার সেবায় ট্রাস্টের উদ্যোগ
এসএ কালাম সেতুর মতে, শিক্ষা একটি শক্তি, যা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এই দর্শন থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর পিতার স্মরণে ‘শহীদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে মেধাবী ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়, পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার সেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
নেতৃত্বের সফলতা
এসএ কালাম সেতু শুধু শিক্ষার প্রসারে নয়, সমাজসেবা এবং মানবকল্যাণমূলক নানা উদ্যোগে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রবাসে থেকেও তিনি নিজের এলাকার উন্নয়ন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশে-বিদেশে অসংখ্য সেবামূলক উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে, যা তাঁকে সমাজে এক অসামান্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
মানবিকতার প্রতিচ্ছবি
এসএ কালাম সেতুর জীবন ও কর্ম আমাদের শিখিয়ে দেয় যে, সততা, কঠোর পরিশ্রম এবং মানবিকতার শক্তি দিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তিনি আজ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম, যিনি আমাদের দেখিয়েছেন কিভাবে একটি জীবন আলোকিত হয়ে উঠতে পারে অন্যের জন্য কিছু করার মাধ্যমে।
এসএ কালাম সেতুর মতো মানুষদের কাজ ও অবদান আমাদের সমাজকে করে তোলে সমৃদ্ধ এবং মানবিক। তাঁর এই যাত্রা যেন থেমে না যায়, বরং আরও মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।