সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজধানীর দনিয়া কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আলিফ দেওয়ান, নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন, সাব্বির ইসলামসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, দেশের কিছু রাজনৈতিক দল কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থে নির্বাচন চায়। কিন্তু জনগণ চায় একটি কার্যকর পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের পূর্বশর্ত হলো—সমগ্র ব্যবস্থার সংস্কার। তাদের মতে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা কেবল স্বৈরাচারী শক্তিকে টিকিয়ে রাখবে।
তারা আরও বলেন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর যেভাবে নির্বাচন হয়েছিল, তা দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আজও যদি সেই ভুল পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে একই ফল হবে। বক্তারা বিশ্বাস করেন, ড. ইউনূস যদি একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করে পূর্বে সংস্কার বাস্তবায়ন করেন, তারপর নির্বাচন আয়োজন করেন—তবেই দেশের প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব।
বক্তারা বলেন, যারা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বলে আসছেন জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি—আগে গণপরিষদের নির্বাচন দিন। জনগণের মতামত নিন—তারা আদৌ নির্বাচন চায় কিনা। তাদের মতে, অধিকাংশই বলবে, এই ব্যবস্থায় নির্বাচন চায় না। যারা নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রস্তাব করছেন, তাদের উচিত প্রথমে সংস্কারের রোডম্যাপে সমর্থন জানানো। দেশের মৌলিক সংকটগুলোর সমাধান ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ জনগণ একটি পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছে—আগে কাঠামোগত সংস্কার, তারপরই গণতান্ত্রিক নির্বাচন।