রাত ৮টায় গালিস্টেয়ার এভিয়েশনের একটি চার্টার্ড কার্গো উড়োজাহাজ ৬০ টন পণ্য নিয়ে স্পেনের উদ্দেশে যাত্রা করে। এই ফ্লাইটের মাধ্যমে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকার বাইরে প্রথম বিমানবন্দর হিসেবে সরাসরি আন্তর্জাতিক মালামাল পরিবহন কার্যক্রম শুরু করল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, "ট্রান্সশিপমেন্টের পরিবর্তে দেশে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু হওয়ায় রপ্তানির খরচ অনেকাংশে কমবে এবং সময়ও সাশ্রয় হবে।"
উল্লেখ্য, এতদিন বাংলাদেশ ভারতের পেট্রাপোল ও গেদে স্থলবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানি করত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায়। তবে গত ৮ এপ্রিল ভারত পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই এ সুবিধা বাতিল করে দেয়। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক কার্গো পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে এখানে আধুনিক বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র, উন্নত এক্স-রে স্ক্যানার এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং ও গ্রাউন্ড সাপোর্ট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
অনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম মুশফিকুল ফজল আনসারী এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিলেট থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক কার্গো ফ্লাইট চালুর ফলে দেশের রপ্তানি কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও কৃষিপণ্যের বাজার সম্প্রসারণে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।