জেনিন ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেনিনের সিলাত আল-হারিথিয়া শহরের প্রবেশপথে আগে থেকে প্রস্তুতকৃত একটি ‘অত্যন্ত বিস্ফোরক’ ডিভাইস ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়। শত্রুপক্ষের সামরিক যান সেখানে প্রবেশ করলে ডিভাইসটি বিস্ফোরিত হয়।
তবে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলি পক্ষ হতাহত সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি। ঘটনাস্থলে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সাংবাদিকরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডের নাবলুস ব্যাটালিয়নও নাবলুসের পুরাতন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাটির বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে এবং পরিস্থিতি বেশ নাজুক হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালায় নাবলুস শহরে। এ সময় পরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সামের খুওয়াইরাকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় তারা। এছাড়া বালাতা শরণার্থী শিবিরেও অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী।
পুরাতন শহরের আজাজ মসজিদ ও গ্রেট সালাহ আল-দীন মসজিদের আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে ইসরায়েলি সামরিক যান, ঘিরে ফেলা হয়েছে এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ও পাড়া।
স্থানীয়দের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী কিছু বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লুটপাট চালিয়েছে এবং পুরাতন শহরে মসজিদ তল্লাশি কার্যক্রমে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।