সিলেট জেলা হাসপাতালের কার্যক্রম আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, এই হাসপাতাল চালু হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেকটাই কমে আসবে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের সংকটও কিছুটা কমবে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন ক্যান্সার ইউনিট পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলমসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের জানান, সিলেটে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালের কার্যক্রম আগামী তিন মাসের মধ্যে শুরু হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এতে ক্যান্সার রোগীদের আর ঢাকায় কিংবা দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, ৫০০ শয্যার ওসমানী মেডিকেলে প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে। তবে নতুন ভবনের কাজ দ্রুত শেষ হলে রোগীদের স্থানান্তর করা যাবে এবং সেবার মান বাড়বে।
সারওয়ার আলম জানান, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা আন্তরিকভাবে সেবা দিলেও রোগীর অতিরিক্ত চাপ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা তৈরি করছে। তবে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানে কাজ চলছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, খুব শিগগিরই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং এ অঞ্চলে একটি আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।